বিভাগ পরিচিতি
রাজশাহীর নিসর্গভূমি হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ রাজশাহী কলেজ। অবিভক্ত বাংলার শিক্ষার গৌরবময় ইতিহাসের ধারক-বাহক এ কলেজের অন্যতম একটি বিভাগ হলো ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে একাডেমিক ফলাফলসহ নানামূখি সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজশাহী কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ইতিবাচক চর্চা অব্যাহত রেখেছে। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
মাত্র চারজন শিক্ষার্থী নিয়ে এ বিভাগের যাত্রা শুরু। শিক্ষার্থীরা হলেন- কামরুন রহমান, শিরিন আকতার, এনায়েতুর রহিম ও দবিরুজ্জামান মিঞা। এ চারজনের মধ্যে প্রফেসর কামরুন রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে, প্রফেসর শিরিন আকতার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে এবং প্রফেসর ড. এনায়েতুর রহিম প্রথমে রাজশাহী কলেজে, তারপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং ১৯৬৭ সালে আমেরিকার স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় ও পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। দবিরুজ্জামান মিঞা অনার্স গ্রেড পাননি, তিনি ডিগ্রি পাশ সনদ পান। এ বিভাগের কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আরো ছিলেন তৃতীয় ব্যাচের মিসেস শামসুন্নাহার মোল্লা (অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), ড. কছিম উদ্দিন মোল্লা (অধ্যাপক, ইতিহাস বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), ড. মুখলেছুর রহমান (অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), ড. এ কে এম ইয়াকুব আলী (প্রফেসর ইমেরিটাস, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), আমিরুল হক (ব্যারিস্টার, সাবেক মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদ)। বিভাগ প্রতিষ্ঠালগ্নে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন দু’জন। যথা- অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুর রহমান হাশেমী ও অধ্যাপক মুখলেছুর রহমান (পরে অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও কিউরেটর, বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর)। ১৯৫৬ সালে ড. শামসুদ্দিন মিয়া (পিএইচ. ডি, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, লন্ডন, ১৯৬৪, পার্টটাইম শিক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, অধ্যক্ষ, রাজশাহী কলেজ, চেয়ারম্যান, রাজশাহী ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ড) ও ১৯৬০ সালে মো. আব্দুর রাজ্জাক শিক্ষক হিসেবে রাজশাহী কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী কলেজে উপাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ বিভাগের আরও যাঁরা প্রথিতযশা শিক্ষক ছিলেন তাঁরা হলেন- প্রফেসর সফিউদ্দিন জোয়ারদার (১৯৬১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন) এবং ১৯৫৯ সালে ড. এনায়েতুর রহিম রাজশাহী কলেজে এ বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন (১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে যোগ দেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকার পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যান এবং এম এ ডিগ্রি লাভ করেন। আমেরিকার জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ. ডি, ১৯৭৩ এবং পরে স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় ও জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।) এছাড়াও অনেক প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী ও বিভাগীয় প্রধানগণ অত্র বিভাগে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৬০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স খোলার অজুহাতে রাজশাহী কলেজে অনার্স কোর্স বন্ধ করার অপচেষ্টা গভর্ণর আযম খানের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ হয়। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ১৯৬২-৬৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিন বছর মেয়াদি ১৩০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ২০০০-২০০১ শিক্ষাবর্ষ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যায়ের অধীনে চার বছর মেয়াদি সমন্বিত অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিভাগটিতে মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়।
১৯০৫ সালে বিভক্ত বঙ্গের পূর্ব বাংলা ও আসাম প্রদেশের প্রথম গভর্ণর ব্যামফিন্ড ফুলার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ফুলার ভবনের উত্তরাংশে এই বিভাগ চালু হয়, যা ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঐতিহ্যের সাথে একাডেমিক কর্মকা- অব্যাহত রাখে। যুগের প্রয়োজনে বিভাগের ব্যাপ্তি ও পরিধি বিস্তৃতির কারণে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ভবনের নীচতলায় পশ্চিম দিকে বিভাগটি স্থানান্তরিত হয়ে আসে। এখানে পূর্বদিক থেকে ক্রমান্বয়ে অফিস, বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরী, বিভাগীয় প্রধানের চেম্বার এবং সর্বপশ্চিমে বিভাগের শিক্ষকগণের রুম বিন্যাসিত হয়েছে। সুপরিসর ও সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো বিভাগটি বর্তমানে একটি আদর্শ নান্দনিক বিভাগীয় কার্যালয়ের রূপ পরিগ্রহ করেছে। দেশের সরকারি কলেজগুলোর র্যাঙ্কিং-এ পরপর চারবার প্রথম হওয়া রাজশাহী কলেজে শ্রেণিতে পাঠদানসহ বিভিন্নমূখি শিক্ষার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ধারাবাহিক চর্চা ও পরিচর্যায় যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। বিভাগের তিনটি শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ও প্রজেক্টরের মাধ্যমে সকল ক্লাস, বিভাগের ‘লাইট হাউস’ নামে একটি সংগঠনের নেতৃত্বে কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিজ পরিচালিত হওয়া, বিভাগের ‘আবৃতি সংগঠন’, ‘সুঅভ্যাসের মাধ্যমে কর্মসংস্থান’ ইত্যাদি সংগঠন ছাড়াও ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রেও বিভাগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই বিভাগ থেকে প্রতি বছরই ছাত্রছাত্রীরা দেয়ালিকা প্রকাশ করে আসছে। তবে আশার কথা, অধ্যক্ষ প্রফেসর মহা. হবিবুর রহমান এর নির্দেশনায় এবং সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর নারগিস জাহানের অভিভাবকত্বে ‘ঝরোকা’ নামে একটি নিয়মিত ম্যাগাজিন সূচনা সংখ্যা, মার্চ ২০২০ সালে প্রকাশিত হয়েছে।
বিভাগটিতে একজন অধ্যাপক, তিনজন সহযোগী অধ্যাপক, চারজন সহকারী অধ্যাপক এবং চারজন প্রভাষকের পদসহ মোট বারোটি শিক্ষকের পদ রয়েছে। বর্তমানে ১০জন শিক্ষক ও তিনজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি কর্মরত রয়েছেন। অক্টেবর/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বিভাগ কর্মরত শিক্ষকবৃন্দ হলেন-
ক্রমিক | কর্মকর্তাবৃন্দের নাম | পদবি |
---|---|---|
০১. | ড. ইয়াসমীন আকতার সারমিন | অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান |
০২. | মো. আব্দুল্লাহিল কাফি | অধ্যাপক |
০৩. | ড. মো. আব্দুল মতিন | সহযোগী অধ্যাপক |
০৪. | ড. মোঃ গোলাম মোস্তফা | সহযোগী অধ্যাপক |
০৫. | ড. আবু নোমান মো. আসাদুল্লাহ | সহযোগী অধ্যাপক |
০৬. | সোহেলা পারভীন | সহকারী অধ্যাপক |
০৭. | মো. মানিক হোসেন | সহকারী অধ্যাপক |
০৮. | তোফায়েল আহম্মেদ | সহকারী অধ্যাপক |
০৯. | মো. সারওয়ার হোসেন | প্রভাষক |
কর্মরত কর্মচারিগণ হলেন-
ক্রমিক | কর্মকর্তাবৃন্দের নাম | পদবি |
---|---|---|
০১. | মো. ওমর ফারুক | অফিস সহকারী |
০২. | মো. হানিফ মিয়া | কম্পিউটার অপারেটর |
০৩. | মো. আসাদ আলী | এম এল এস এস |
বর্তমানে প্রফেসর ড. ইয়াসমীন আকতার সারমিন ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভাগটিতে অনার্স, মাস্টার্স ও প্রিলিমিনারি কোর্স চালু রয়েছে। এ বিভাগের বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় দু’হাজার জন। ঐতিহ্যবাহী ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রতিভাবান শিক্ষক তৈরির সূতিকাগার হিসেবে কাজ করে চলেছে। এ বিভাগ থেকে প্রতিবছর অসংখ্য মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে দেশে-বিদেশে স্ব-স্ব কর্মক্ষেত্রে যোগ্যতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। অতীতের ন্যায় এখনো রাজশাহী কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ ফলাফলের দিক দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে।
– ড. মো. আব্দুল মতিন, সহযোগী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।
বিভাগীয় প্রধান
প্রফেসর ডঃ ইয়াসমিন আক্তার সারমিন
একাডেমিক লিংক
আই.এ কোর্স হিসাবে শুরু | ১৯৫০ |
ডিগ্রি কোর্স হিসাবে শুরু | ১৯৫৩ |
অনার্স লেভেল শুরু | ১৯৫৪ |
মাস্টার্স লেভেল শুরু | ১৯৯৩-১৯৯৪ |
প্রথম দিকের বিশিষ্ট শিক্ষক | সৈয়দ আজিজুর রহমান হাশমী মুখলেসুর রহমান ড. শামসুদ্দিন মিয়া |
শিক্ষকের সংখ্যা | ১২ |
শিক্ষার্থীর সংখ্যা | ২৬০০ |
নাম | সময়কাল |
শামসুদ্দিন মিয়া | ১৯৬৩-১৯৬৫ |
মোঃ দবিউজ্জামান মিয়া | ০১/০৭/৯০-০১/১১/৯৪ |
এ কে এম রশিদুল হক | ০১/০৭/৯০-০৫/১১/৯৪ |
মোঃ ইমরুল কায়েশ চৌধুরী | ১৭/০৭/৯৫-১৬/০৪/৯৬ |
মুহাম্মদ আবদুর রশিদ | ০৪/০৫/৯৭-২৯/১২/৯৯ |
মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মন্ডল | ২১/০৪/০১-১৪/০২/০২ |
আব্দুল বাকী মুন্সী | ০২/০৬/০২-২৯/১০/০২ |
বেগম এ.এন.এম. নুরুন নাহার | ?-৩০/১২/০২ |
আয়েশা খাতুন | ০১/০১/০৩-২৪/০১/০৫ |
দিলরুবা বেগম | ০৩/০৫/০৭-২৮/০৬/০৮ |
আলহাজ্ব মোঃ আব্দুল করিম | ০৩/০৫/০৭-২৮/০৬/০৮ |
নুরজাহান বেগম | ০৫/১১/০৮-৩০/১২/০৮ |
মোঃ ওয়াজেদ আলী | ৩০/১২/০৯-০৯/০৪/১১ |
মোঃ জিল্লুর রহমান | ২০/০৫/১২-২৭/০৭/১৪ |
নাজির আহমেদ | ০১/১১/১৪-২২/০১/১৫ |
নার্গিস জাহান | ১২/০৫/১৫-১৪/০৫/২০ |
ডঃ ইয়াসমিন আক্তার সারমিন | ০৯/০২/২১-চলামন |
অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি, আদেশ ও সার্কুলার
বিভাগীয় শিক্ষক তালিকা
ক্রমিক | শিক্ষকের নাম | পদবী | ব্যাচ | মেধা | যোগদানের তারিখ |
---|---|---|---|---|---|
০১. | ডঃ ইয়াসমিন আক্তার সারমিন (১০৪৯২) | অধ্যাপক | ১৪ | ১৫ | ০৯/০২/২০২১ |
০২. | মোঃ আব্দুল্লাহিল কাফি (৫৩৮৮) (অধ্যাপক) | সহযোগী অধ্যাপক | ০৬/০৮/২০২০ | ||
০৩. | ডাঃ মোঃ আব্দুল মতিন (৭৯৫৯) | সহযোগী অধ্যাপক | ১৬ | ১১৭ | ২৫/০৯/২০১৭ |
০৪. | ড. মোঃ গোলাম মোস্তফা | সহযোগী অধ্যাপক | ২৪ | ৬৪ | ২৫/০৭/২০২৪ |
০৫. | ডঃ আবু নোমান মোঃ আসাদুল্লাহ (১৪১৭৬) (সহযোগী অধ্যাপক) | সহকারি অধ্যাপক | ১৪/০৫/২০১৩ | ||
০৬. | সোহেলা পারভিন (১৩৬৬৭) (সহযোগী অধ্যাপক) | সহকারি অধ্যাপক | ১০/১১/২০১৪ | ||
০৭. | মোঃ মানিক হোসেন (২১৮৮৮) | সহকারি অধ্যাপক | ২৮ | ১৫ | ০২/০৪/২০২২ |
০৮. | তোফায়েল আহমেদ (২২৭৫৯) | সহকারি অধ্যাপক | ৩০ | ১৮ | ০২/০৪/২০২২ |
০৯. | মোঃ সরোয়ার হোসেন (১৬১৩৪১০৮০০৭) | প্রভাষক | ৩৪ | ০৭ | ০৬/০২/২০২১ |
১০. | প্রভাষক | ||||
১১. | প্রভাষক | ||||
১২. | প্রভাষক |