বিভাগ পরিচিতি
পরিচ্ছেদসমূহ
১ ইতিহাস
২ প্রথিতযশা শিক্ষক
৩ অবকাঠামো
৪ প্রকাশনা ও কার্যক্রম
৫ আরো দেখুন
বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন
ইতিহাস
১৮৭৫ সালে রাজশাহী কলেজ একটি প্রথম শ্রেণির প্রতিষ্ঠান হিসেবে মর্যাদা পাওয়ার পর থেকেই অতি দ্রুত প্রসিদ্ধি লাভ করতে থাকে। ১৮৭৮ সালেই রাজশাহী কলেজে মাস্টার্স কোর্স খোলার অনুমতি প্রদান করা হয়। ক্রমোন্নতির ধারাবাহিকতায় ১৮৮৩ সালে চালু হয় বি.এল কোর্স। আনুমানিক ১৮৮৪-১৮৮৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কলেজে অনার্স কোর্স চালু হয়। ১৯০৯ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন আইনে মাস্টার্স কোর্স ও বি.এল কোর্সের অধিভুক্তি বাতিল করা হয়। এই পদক্ষেপটি তদানীন্তন পূর্ব বাংলায় ব্রিটিশ সরকারের শিক্ষা সংকোচন নীতির অংশ বলে প্রতীয়মান হয়। সেই সময়ে স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে ইংরেজি, আরবি, ফার্সি ও সংস্কৃত ভাষা-সাহিত্যের অনুমোদন থাকলেও পৃথক বিষয় রূপে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অনুমোদন ছিল না। ১৯১২-১৯১৩-এর রাজশাহী কলেজ রিপোর্টে Vernacular Composition হিসেবে আই.এ ও বি.এ শ্রেণিতে বাংলা বিষয় পড়ানো হত। ১৯১৮ সালের আগে বাংলা বিষয়ের জন্য কোন শিক্ষকও সম্ভবত ছিল না। ১৯৩৫-১৯৩৬ শিক্ষা বর্ষের ইন্সপেকশন রিপোর্ট থেকে জানা যায় Vernacular Composition-এর পরিবর্তে বাংলাকে স্বতন্ত্র বিষয়ের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আই.এ ও বি.এ শ্রেণিতে বাংলা (ইবহমধষর) স্বতন্ত্র বিষয় হিসেবে অনুমোদন লাভ করে। কিন্তু তখনও বাংলায় অনার্স পাঠদানের অনুমতি লাভ করার তথ্য পাওয়া যায় নি। রাজশাহী কলেজের প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে বলা য়ায় ১৯৩৭-১৯৩৮ সালের পরে সম্ভবত রাজশাহী কলেজে বাংলা বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। ১৯৪১ সালে শ্রী শিবপ্রসন্ন লাহিড়ী এই কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৯ সালে কাজী আব্দুল মান্নান ও মযহারুল ইসলাম কৃতিত্বে¡র সাথে বাংলায় অনার্স ডিগ্রি লাভ করেন। বাংলা বিভাগের যে সব শিক্ষক কর্মরত ছিলেন তাঁদের নাম যথাসম্ভব উদ্ধারকরার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রাক্তন শিক্ষকদের নাম স্মরণিকায় প্রকাশের মাধ্যমে বাংলা বিভাগ তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।
প্রথিতযশা শিক্ষক
যে সকল প্রথিতযশা শিক্ষাবিদের অবদানে রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্য সমুন্নত হয়েছে তাঁদের মধ্যে অধ্যাপক শ্রীকুমার ব্যানার্জী, অধ্যাপক সুনীতিকুমার ভট্টাচার্য, ড. পিভি শাস্ত্রী, ড. মুহম্মদ এনামুল হক, ড. কুদরত-ই-খুদা, হুমায়ুন কবির (সাহিত্যিক-রাজনীতিক), অধ্যাপক আবু হেনা, অধ্যাপক সৌরেন মজুমদার, অধ্যাপক ক্ষেমেশচন্দ্র দে, ড. স্নেহময় দত্ত, অধ্যাপক বি.সি কুণ্ডু, ড. গোলাম মকসুদ হিলালী, জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, ড. এআর মল্লিক, প্রফেসর এম. শামস্উল হক (প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী), ড. আব্দুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন, ড. এম এ বারী, ড. কাজী আব্দুল মান্নান, ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ। অসংখ্য কৃতী শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজ থেকে শিক্ষা লাভ করে পরবর্তীতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খ্যাতিমান হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শ্রীরাধিকা মোহন মৈত্র, প্রমথনাথ বিশী, স্যার যদুনাথ সরকার, অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, কবি রজনীকান্ত সেন, কাজী মোতাহার হোসেন, খান বাহাদুর এমাদউদ্দীন আহমদ, ড. কাজী আব্দুল মান্নান, ড. মযহারুল ইসলাম, ডাঃ গোলাম মাওলা, বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী, বিচারপতি মুহম্মদ হাবিবুর রহমান, ঋত্বিক ঘটক, আনোয়ার পাশা, ড. এবনে গোলাম সামাদ, ড. এমাজউদ্দীন আহম্মদ, ড. ওয়াজেদ আলী মিয়া (পরমাণু বিজ্ঞানী) ও নাজমা জেসমিন চৌধুরী, প্রফেসর আব্দুল খালেক, প্রফেসর মোঃ সিরাজুল হক চৌধুরী, প্রফেসর নিমাই চন্দ্র সরকার, প্রফেসর আখতার জাহান, প্রফেসর ড. সারোয়ার জাহান, প্রফেসর ড. অনীক মাহমুদ প্রমুখ বিশেষভাবে স্মরণীয়।
অবকাঠামো
১৯০৯ সালে নির্মিত হয় কলেজের অন্যতম একটি সুন্দর স্থাপনা ‘মোহামেডান ফুলার হোস্টেল’। বর্তমানে ভবনটি কলেজের বাংলা, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, উর্দু, ফিন্যান্স, মার্কেটিং, আরবি ও ইসলামী শিক্ষা, সংস্কৃত ও দর্শন বিভাগের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। অবশ্য স্বল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী থাকায় ২০০২-২০০৩ সালেও ভবনটির ছোট ছোট কক্ষ ক্লাস-রুম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
একুশ শতকের তথ্য-প্রযুক্তি সমৃদ্ধ বিশ্বায়নের যুগে টিকে থাকতে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাজশাহী কলেজের সার্বিক উন্নয়নের ধারায় পিছিয়ে নেই বাংলা বিভাগ। বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. হবিবুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে রাজশাহী কলেজের অপরূপ নান্দনিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি বাংলা বিভাগের অফিস ও তিনটি শ্রেণিকক্ষের (কলাভবন-২০৪, ২০৫, ২০৬) মেঝে এবং বারান্দাসহ পুরো কলাভবন টাইলস্সহ পরিপূর্ণরূপে সুসজ্জিত করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাসরুমের জানালা দরজায় পর্দা, কবি-সাহিত্যিকের ছবি এবং মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ স্মার্ট ক্লাসরুম ও প্রতিটি ক্লাসরুম ও অফিস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় রাজশাহী কলেজের নিজস্ব অর্থায়নে আই.সি.টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষিত দক্ষ শিক্ষকগণ বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তা-চেতনায় প্রাগ্রসর হয়ে জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়ে মানসম্মত শিক্ষাদানে সদা সচেষ্ট রয়েছেন। বিভাগীয় সেমিনার লাইব্রেরির কথা না বললেই নয়। সেমিনার লাইব্রেরিতে দশ হাজারের অধিক বই রয়েছে। তাছাড়া ড. মোঃ ইব্রাহিম আলীর প্রস্তাবনায়, অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. হবিবুর রহমান, বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোসাঃ মনোয়ারা খাতুন ও প্রফেসর ড. শিখা সরকারের সার্বিক সহযোগিতা এবং তত্ত্বাবধানে বাংলা বিভাগের সেমিনার লাইব্রেরির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠা করা হয় ক্লাস রুম লাইব্রেরি । এখানে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য পৃথক পৃথক আলমারিতে শ্রেণিভিত্তিক পুস্তক সাজানো রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের দ্বারাই পরিচালিত হয়। সেমিনার ও ক্লাসরুম লাইব্রেরি থেকে দুই থেকে তিনটি বই ইস্যু করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার দ্বার উন্মুক্ত করা হয়েছে। ফলে একদিকে যেমন সাশ্রয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মূল্যবান সময়, অন্যদিকে তারা গড়ে উঠছে একজন দক্ষ বিজ্ঞানমনস্ক দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নাগরিক রূপে। প্রত্যেক শিক্ষক যেমন ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভে মাল্টিমিডিয়ার সাহায্যে আধুনিক প্রযুক্তিতে পাঠদান করছেন; তেমনি তাঁদের বিভাগীয় অফিস কক্ষটিতে রয়েছে উন্নত খধহ সংযোগ ও ডর-ঋর সমৃদ্ধ আধুনিক শিক্ষা উপকরণের ব্যবস্থা।
প্রকাশনা ও কার্যক্রম
অধ্যাপক ড. মুহম্মদ এনামুল হক বাংলা বিভাগে যোগদানের পরে ‘বাঙলা সাহিত্য মজলিস’ (১৯৪৮) নামে একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। রাজশাহী কলেজের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিকাশে এই প্রতিষ্ঠানের রয়েছে অসামান্য অবদান। ‘বাঙলা সাহিত্য মজলিস’(১৯৪৮) প্রতিষ্ঠার দ্বারা কলেজটিতে সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার এক নবদিগন্তের সূচনা ঘটে। তাছাড়া ‘সাহিত্যিকী’ নামে পত্রিকা প্রকাশের মাধ্যমে সংগঠনটি রাজশাহী কলেজের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়। কিন্তু বেশ কয়েকটি সংখ্যা প্রকাশের পর পত্রিকাটির প্রকাশনাসহ ‘বাঙলা সাহিত্য মজলিস’-এর কার্যক্রম অজ্ঞাত কারণে বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় চার দশক পর কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোঃ আবুল কাশেমের উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতায় ১৯৯০ সালে সংগঠনটি পুনর্জীবন লাভ করে এবং একটি কার্যনির্বাহক কমিটি গঠন করে সাহিত্য বিভাগ, সাংস্কৃতিক বিভাগ, বিজ্ঞান বিভাগ ও পত্রিকা বিভাগ নামে চারটি উপকমিটি গঠন করা হয়। এ উপলক্ষে অধ্যাপক মোঃ গোলাম কিবরিয়ার সম্পাদনায় ‘স্মরণিকা বাঙলা সাহিত্য মজলিস-১৯৪৮’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর মোঃ আফসার আলী এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন বাংলা বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশীদ। অধ্যক্ষ মহোদয় সংগঠনটিকে আর্থিকভাবে স্বয়ংসম্পূর্ণ করবার জন্য কলেজের প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য বার্ষিক ১০/- টাকা চাঁদা নির্দ্ধারণ করেন- যা ২০০৬ সাল পর্যন্ত আদায় করা হয়েছিল। এরপর সংগঠনটি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান এবং সেমিনার-সেম্পুজিয়ামের আয়োজন করে। ড. মোঃ আবুল কাশেম রাজশাহী বোর্ডের হিসেবে যোগদান করেন এবং নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন প্রফেসর ড. মোঃ শামসুর রহমান। তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও পত্রিকা উপকমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর আর, জে শামসুল আলমের সম্পাদনায় ‘একুশের সংকলন’৯১ নামে একটি সাহিত্য-সাময়িকী প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে আবারও এর কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। ২০১২ সালে কলেজ প্রশাসনের দুই কর্ণধার অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আলী রেজা মুহম্মদ আব্দুল মজিদ ও উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. হবিবুর রহমানের উৎসাহ, প্রয়োজনীয় ও আন্তরিক পৃষ্ঠপোষকতা এবং বাংলা বিভাগের উদ্যোগে ‘বাঙলা সাহিত্য মজলিস’-এর নিজস্ব তহবিল থেকে সংগঠনটির মুখপত্ররূপে প্রকাশিত হয় গবেষণা পত্রিকা ‘বাঙলা সাহিত্যিকী’। পত্রিকাটির বর্তমান নামকরণ প্রসঙ্গে বলা যায়, ‘সাহিত্যিকী’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে প্রকাশিত গবেষণা পত্রিকার নাম। রাজশাহী কলেজের স্বনামখ্যাত কয়েকজন শিক্ষক সমকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে যোগদান করে ‘সাহিত্যিকী’ নামটি তাঁদের প্রকাশনায় ব্যবহার করেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এবং রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্য বিবেচনা করে ‘সাহিত্যিকী’ শব্দটির পূর্বে ‘বাঙলা সাহিত্য মজলিস’-এর ‘বাঙলা’ শব্দটির প্রাচীন বানান অক্ষুণ্ন রেখে পত্রিকাটির নতুন নামকরণ করা হয় ‘বাঙলা সাহিত্যিকী’। ‘বাঙলা সাহিত্যিকী’র ২০২০ সাল পর্যন্ত ছয়টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকাটির সম্পাদনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যথাক্রমে প্রফেসর আল-ফারুক চৌধুরী, প্রফেসর মোহা. ওলিউর রহমান ও প্রফেসর ড. শিখা সরকার। ‘বাঙলা সাহিত্যিকী’র প্রতিটি সংখ্যারই সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী এবং সহযোগী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন মো: ইকবাল হোসেন। তাছাড়া বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ও উৎসাহে লিটলম্যাগ ‘ অনুভব’-এর তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়। এছাড়া সাহিত্যপত্র ‘ভাঁজপত্র’ এবং প্রতিটি জাতীয় দিবস ও অন্যান্য দিবসে শিক্ষার্থীদের সরাসরি অংশগ্রহণে প্রকাশিত হয় নান্দনিক ‘দেয়ালিকা’। যা নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে সেমিনার লাইব্রেরির সামনে শোভা পায়।
বাংলা বিভাগের প্রাগ্রসর শিক্ষার্থীরা ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় রাজশাহী কলেজের সাংস্কৃতিক চর্চা ও আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। বর্তমানে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘অগ্নিবীণা’র মাধ্যমে বিভাগের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকদের জীবন ও কর্মের উপর সেমিনার-সেম্পুজিয়াম এবং রবীন্দ্র-নজরুল জন্মজয়ন্তী উদ্যাপনের আয়োজন করে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষের এম.এ শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা প্রথম স্মরণিকা ‘চেতনা’ প্রকাশিত হয়। এ ধারা এখন পর্যন্ত অব্যাহত আছে। প্রতি বছর এম.এ শেষবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বারা এই নান্দনিক স্মরণিকা ‘চেতনা’ শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্ব ও অটুট বন্ধনে আবদ্ধ রাখে। বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বন্ধুত্বের ভিত আরও সুদৃঢ় করবার জন্য ২০১৯ সালের ২২মার্চ বাংলা বিভাগের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে অত্যন্ত জাঁকজমক সহকারে অনুষ্ঠিত হয় ‘মিলন-উৎসব’ ও কৃতি শিক্ষক সম্মাননা অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে একটি স্মরণিকা ‘মিলন উৎসব-২০১৯’ প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শিখা সরকার এবং প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কৃত করেন কলেজের সুযোগ্য অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহা. হবিবুর রহমান। বাংলা বিভাগের প্রাক্তন কৃতি শিক্ষক প্রফেসর আবদুল্লাহ আবু সাঈদ, প্রফেসর নিমাই চন্দ্র সরকার, প্রফেসর মোঃ আফসার আলী(মরণোত্তর), মোঃ আহাদ আলী মোল্লা(মরণোত্তর), প্রফেসর মোঃ শামসুজ্জোহা(মরণোত্তর), প্রফেসর মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম, প্রফেসর হাসমত আরা বেগম, প্রফেসর ফজিলাতুন্নেসা, প্রফেসর জিনাত মহল বেগম, প্রফেসর এমদাদুল হক মোল্লা, মোঃ নবীর উদ্দীন মণ্ডল প্রমুখকে সম্মাননা স্মারক উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. মোঃ ইব্রাহিম আলী।
বাংলা বিভাগের প্রতি বর্ষের শিক্ষার্থীরা পৃথক পৃথকভাবে নিয়মিত শিক্ষাসফর আয়োজন করে থাকে। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী পাঠপরিকল্পনা তৈরি করে ২০১৩ সালে তা ছাপানো হয়। এর আলোকে বর্তমান বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. শিখা সরকারের সুযোগ্য নেতৃত্বে ১০জন প্রাজ্ঞ, অভিজ্ঞ, প্রাগ্রসর, প্রতিশ্রুতিশীল ও সৃজনশীল শিক্ষক পাঠপরিকল্পনা অনুযায়ী পাঠটীকা তৈরি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে উচ্চমাধ্যমিক, অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির দুই হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান করে থাকে। আর বিভাগের সার্বিক কার্যক্রমে সহায়তা করে থাকে ৩জন সহায়ক কর্মচারী।
আরো দেখুন
বিভাগীয় প্রধান
প্রফেসর ড. শিখা সরকার
একাডেমিক লিংক
ভার্নাকুলার কম্পোজিশন হিসেবে পড়ানো হয় | ১৯১২ |
প্রথমবারের মতো নিয়োগ দেওয়া হয়েছে | বসন্ত কুমার রায় |
প্রথম নিযুক্ত হন | ১৯১৮ |
বাংলাকে বিষয় হিসেবে স্বীকৃতি দান | ১৯৩৫-১৯৩৬ সেশন |
অনার্স কোর্স শুরু | ১৯৩৭-১৯৩৮ সেশন |
প্রথমবারের মত অনার্স ডিগ্রী প্রদান করা হয় | ১৯৪১ |
প্রথম অনার্স স্নাতক লাভ | শ্রী শিব প্রসন্ন লাহিড়ী |
NAME | PERIOD |
ড. মুহাম্মদ এনামুল হক | ৩১/০৩/৪৮-১৮/০৬/৫৪ |
আবদার রশিদ | ১৩/০৮/৬৪-২০/০৬/৬৮ |
মুহ. আব্দুল লতিফ চৌধুরী | ৩১/১২/৭০-২৯/১২/৭৯ |
মোঃ সাদেক আলী | ০২/০১/৮০-১৮/০৪/৮২ |
মোঃ আফসার আলী | ১৯/০৪/৮২-২৭/০২/৯১ |
এন কে মুহাম্মদ হাবিবুন্নবী | ২৮/০২/৯১-০৩/০৭/৯১ |
মুহাম্মদ মুর্তজা আলী | ১৭/০৯/৯২-৩০/০৭/৯৮ |
এ কে এম হাসানুজ্জামান (ভারপ্রাপ্ত) | 30/07/98-04/09/99 |
ডাঃ মোঃ আশরাফুল ইসলাম | 05/09/99-04/05/02 |
মুহাম্মদ শামশুল হুদা | ০৭/০৭/০৩-১৫/০২/০৪ |
ড. ফরিদা সুলতানা | ০৪/০৩/০৪-১৩/১২/০৭ |
মোঃ এমদাদুল হক মোল্লা | ০৩/০৩/০৮-২০/০৭/০৮ |
মুহাম্মদ কবির চৌধুরী | ১৪/০৩/০৯-১৭/১১/০৯ |
ড. মোঃ মকবুল হোসেন (ভারপ্রাপ্ত) | ১৭/১১/০৯-২২/১১/০৯ |
ড. মোঃ সাইদুল হক (ভারপ্রাপ্ত) | ২২/১১/০৯-০৯/০৮/১০ |
আল ফারুক চৌধুরী | ০৪/০৫/১১-০১/০১/১৫ |
মোঃ অলিউর রহমান | ০১/০১/১৫-২৮/০৩/১৬ |
মোসাঃ মনোয়ারা খাতুন | ২৯/০৩/১৬-২০/০৬/১৮ |
ড. শিখা সরকার | ২০/০৬/১৮-চলমান |
অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি, আদেশ ও সার্কুলার
বিভাগীয় শিক্ষক তালিকা
ক্রমিক | শিক্ষকের নাম | পদবী | ব্যাচ | মেধা | যোগদানের তারিখ |
---|---|---|---|---|---|
০১. | ড. শিখা সরকার (১০৩৮৮) | অধ্যাপক | ১৬ ১০% |
৮ ২ |
২০/০৬/২০১৮ |
০২. | মোসাঃ তাসলিমা খাতুন (১২৬১১) | সহযোগী অধ্যাপক | ০১/০৩/২০১৫ | ||
০৩. | মোঃ ইকবাল হোসেন (১২৬৫২) | সহযোগী অধ্যাপক | ২২ | ২৭ | ৩০/০৮/২০১৭ |
০৪. | মোসঃ হাজেরা খাতুন (১৩৩৫৭) | সহকারি অধ্যাপক | ২৪ | ৯৭ | ০১/১২/২০২২ |
০৫. | মোঃ নূরুল ইসলাম (০১৭০৮০) | সহকারি অধ্যাপক | ১১/০১/২০২২ | ||
০৬. | ড. মোঃ রবিউল ইসলাম (১৫৯৭১) | সহকারি অধ্যাপক | ২৬ | ৮৭ | ৩০/০১/২০২৩ |
০৭. | মোসাঃ সাকিলা শবনম (১৬১৮১) | সহকারি অধ্যাপক | ১০/১১/২০১৪ | ||
০৮. | মোঃ গোলাম কিবরিয়া (১৮০৬১) | সহকারি অধ্যাপক | ২৭ | ৩২ | ০৮/১১/২০২৩ |
০৯. | নূরজাহান বেগম (১৬১৩৪১৩৩০৩৫) | প্রভাষক | ৩৪ | ? | ০১/০৬/২০১৬ |
১০. | মোঃ ইমরান হোসেন (১৬১৩৪১৩৩০৪০) | প্রভাষক | ৩৪ | ? | ৩১/০৭/২০১৭ |
১১. | মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (১৭১৩৫১৩৩০৮০) | প্রভাষক | ৩৫ | ৮৪ | ২৫/১০/২০১৭ |
১২. | মোঃ মাসুদুর রহমান (১৮১৩৬১৩৩০২৬) | প্রভাষক |
“যখন মানুষের খুব প্রিয় কেউ তাকে অপছন্দ, অবহেলা কিংবা ঘৃণা করে তখন প্রথম প্রথম মানুষ খুব কষ্ট পায় এবং চায় যে সব ঠিক হয়ে যাক । কিছুদিন পর সে সেই প্রিয় ব্যক্তিকে ছাড়া থাকতে শিখে যায়। আর অনেকদিন পরে সে আগের চেয়েও অনেকবেশী খুশি থাকে যখন সে বুঝতে পারে যে কারো ভালবাসায় জীবনে অনেক কিছুই আসে যায় কিন্তু কারো অবহেলায় সত্যিই কিছু আসে যায় না।”
— হুমায়ূন আহমেদ