Rajshahi College ICT Training Centre

রাজশাহী কলেজে আপনাকে স্বাগত | এমন এক বিদ্যাপীঠ যেখানে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয়।

আইটি ট্রেনিং-এর প্রেক্ষাপট

দক্ষতা, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও মানব উন্নয়ন একটি দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিক তথা দেশ কতটা সমৃদ্ধ হবে তার নির্দেশক হিসেবে প্রতীয়মান হয় এবং যা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্ব সম্পদ অন্মেষণ। আর তরুণ প্রজন্ম যদি সেই দেশের কাঙ্খিত কালচার, শিক্ষা ব্যবস্থা, দক্ষতা এবং উচ্চাকাঙ্খা উপর ভর করে এগিয়ে যায় তবে তা হয় টেকসই উন্নত সমাজ গড়ার পথ । কিন্তু কালচার, শিক্ষা ব্যবস্থা, দক্ষতা ও সামাজিক প্রত্যাশা প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এবং এই পরিবর্তন সমাজের অবশ্যম্ভাবী অনুসঙ্গ। বিশ্বায়নের পথে নতুন চাহিদার প্রেক্ষিতে পরিবর্তনের সাথে তাল মেলাতে প্রয়োজন বিশ্ব অন্বেষণ আর তার অবশ্যম্ভাবী বাহন হলো তথ্য ও প্রযুক্তিগত জ্ঞান। সময়ের বিবর্তনে মানুষ অনবরত প্রকৃতির বিপক্ষে জয়লাভ করেছে, নতুন নতুন জ্ঞানের মাধ্যমে তার বাহন ছিল জ্ঞান। তার প্রমাণ মানব সভ্যতা আজ ১ম শিল্প বিল্পব থেকে ৫ম শিল্প বিপ্লব সফল করার দ্বারপ্রান্তে। অন্যান্য শিল্প বিপ্লবের সাথে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের যে পার্থক্য, তা শুধুমাত্র স্থানিক নয়; বরং এটি একটি আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থা যার মাধ্যমে দূরবর্তী জ্ঞান সহজেই আহরণ করা যায়। তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক এই বিপ্লব বিশ্বকে করেছে কাছাকাছি, করেছে পারস্পরিক নির্ভরশীল। এর মাধ্যমে আমরা একই গ্রামের বাসিন্দার মত করে সামষ্টিক অসুবিধা মোকাবিলা করে সুবিধাগুলো গ্রহণ করে থাকি। মূলতঃ সারা বিশ্বের অপার সম্ভাবনার সুবিধাকে ধারণ করতে আমাদেরকে অবশ্যই তথ্য-প্রযুক্তিতে সক্ষম থাকতে হবে। অন্যান্য শিল্প বিপ্লবের সাথে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রধান পার্থক্য হচ্ছে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিল্প বিপ্লব শুধুমাত্র মানুষের শারীরিক পরিশ্রমকে প্রতিস্থাপন করেছে; কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিক পরিশ্রমকেও প্রতিস্থাপন করবে।

Click here to read more

স্টুডেন্ট ক্যাপিটাল (student Capital) একটি নতুন প্রত্যয় যা কলেজ পর্যায়ে গণিতের শিক্ষক Christopher Quarles কর্তৃক উদ্ভাবিত। যুক্তরাস্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন পিএইচডি ফেলো হিসেবে গবেষণারত থাকাকালে এই প্রত্যয় এর প্রথম ব্যবহার করেন। তিনি স্টুডেন্ট ক্যাপিটালকে “দক্ষতা ও সম্পদ থাকা এবং খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, গৃহহীনতা ও অসুস্থতা না থাকা দ্বারা সংজ্ঞায়িত করেন।” মূলত মিশিগান ইউনিভার্সিটির গবেষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সফল হতে শিক্ষার্থীদের জন্য যে সমস্ত বৈশিষ্ট্য ও ক্ষমতা দরকার তার মোট প্রভাব দেখে শিক্ষাগত কৃতিত্ব পরিমাপ করার জন্য একটি নতুন উপায় উদ্ভাবন করেছেন, যে বিষয়টি বর্তমান পরিবর্তনশীল শিক্ষা ব্যবস্থার সফলতার জন্য একটি প্রভাবশালী ও কার্যকর প্রত্যয় হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।

এই প্রেক্ষিতে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মাননীয় শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০০৮ সালের ১২ই ডিসেম্বর ঘোষিত নির্বাচনী ইশতেহারে ‘২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর ’চার্টার অব চেঞ্জ’ ঘোষণা মতে পরবর্তীতে নির্বাচিত শেখ হাসিনা সরকার প্রযুক্তি বিস্তারের ক্ষেত্রে যে কর্মযজ্ঞ শুরু করে তার প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে যেতে থাকে। বিভিন্ন মাত্রার র‌্যাংকিং বিবেচনায় প্রথম হওয়া রাজশাহী কলেজ এর সাথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে থাকে। ২০১২ সাল হতে রাজশাহী কলেজ EasyCollegeMate ইন্টার অ্যাক্টিভ সফট্ওয়্যার, সার্ভার ও ফাইবার অপটিক এর সাহায্যে সকল একাডেমিক বিভাগ সংযুক্ত করে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষার্থীর প্রয়োজনীয় ডাটা সংরক্ষণ ও তা ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে এবং এটি ২০১৩ সালে সফলতা পায়। যার ফলে রাজশাহী কলেজের ভর্তি ও পরীক্ষার ফরমফিলাপ অনলাইনভিত্তিক হয় । পরবর্তীতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা সহজ ও জবাবদিহিমূলক হয় এবং ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ফেয়ার-২০১৭-এর দেশসেরা আইসিটি কলেজ এর পুরস্কার গ্রহণের মাধ্যমে রাজশাহী কলেজ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি লাভ করে। এই পুরস্কার প্রাপ্তি কলেজের দায়িত্ব ও কর্তব্যের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজ বাজেট ও উদ্যোগেই বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করতে থাকে। যার ধারাবাহিকতায় কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতি মাসে ২১ দিন ব্যাপী এই আইসিটি প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

আইটি ট্রেনিং-এর উদ্দেশ্য সমূহ:

২০১১ সালে ঘোষিত ‘৪র্থ শিল্প বিপ্লব’-এর চাহিদা পূরণ ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যসমূহ সামনে রেখে ‘স্ব-উদ্যোগ ও স্ব-অর্থায়নে আইসিটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচী’ নামে আইসিটি প্রশিক্ষণ শীর্ষক কোর্সটি নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যসমূহ অর্জনের লক্ষ্যে পরিচালিত হতে থাকেঃ

১।  শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ;

২।  কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে আইসিটির ব্যবহার;

৩।  প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার উন্নয়ন;

৪।  শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত মানব সম্পদ হিসেবে উন্নয়নে প্রযুক্তির প্রয়োগ

৬ জুন, ২০১৬ সালের খ্রিষ্টীয় ক্যালেন্ডার বর্ষ হতে আজ পর্যন্ত মোট ৪৪ টি ব্যাচের মাধ্যমে প্রায় ৬০০০ শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা সম্ভব হয়েছে।

ICT Video Gallery

ICT Training Centre

স্ব-উদ্যোগে ও স্ব-অর্থায়নে শিক্ষার্থীদের জন্য ICT প্রশিক্ষণ কোর্স

চলমান কোর্স:

কোর্সের নাম : শিক্ষার্থীদের বেসিক ICT কোর্স-০১
স্থান : শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব।
ব্যাচ সংখ্যা : 35 তম ব্যাচ
প্রশিক্ষণের মেয়াদ : ১৪ কর্মদিবস মোট ৪০ কর্মঘণ্টা।
কোর্স শুরুর তারিখ :
কোর্স কো-অর্ডিনেটর : মোহাম্মদ মহিউদ্দিন,
কণ্টাক্ট নং- 02588854409

ICT Training Services

শিক্ষকদের জন্য বেসিক ICT কোর্স

Inhouse/Refresher ICT প্রশিক্ষণ কর্মসূচী শিক্ষকদের জন্য ৫ কর্মদিবস ৩০ ঘন্টা।

শিক্ষার্থীদের বেসিক ICT কোর্স-০১

২য় ও ৩য় বর্ষ সম্মান শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য 14 কর্ম দিবস (40 ঘন্টা) এর কোর্স।

শিক্ষার্থীদের বেসিক ICT কোর্স-০২

৪র্থ বর্ষ সম্মান ও মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য 21 কর্ম দিবস (60 ঘন্টা) এর কোর্স।

Course Co-Ordinator

Mohammad Mohiuddin

Mohammad Mohiuddin

Course Co-Ordinator (Librarian, Rajshahi College, Rajshahi)

Your content goes here. Edit or remove this text inline or in the module Content settings. You can also style every aspect of this content in the module Design settings and even apply custom CSS to this text in the module Advanced settings.

ICT Photo Gallery